সোমবার, ২ জানুয়ারী, ২০১৭

ডেভেলপার ও অ্যাডমিন ঃ
তৌহিদুর রহমান মাহিন

সোমবার, ২২ আগস্ট, ২০১৬

গানটির ইউটিউব ভিউয়ার ৫০ লাখ ছাড়িয়ে গেছে!

কণার গাওয়া ‘রেশমি চুড়ি’ গানটির ইউটিউব ভিউয়ার ৫০ লাখ ছাড়িয়ে গেছে! এটাই এখন বাংলাদেশের কোনো গায়িকার ইউটিউবে সর্বোচ্চ হিট হওয়া গান। ৩১ মার্চ কণার নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেল থেকে ভিডিওটি আপলোড করা হয়। গতকাল দুপুর পর্যন্ত যেটির ভিউয়ার ছিল ৫০ লাখ ১৫ হাজার। কলকাতার আকাশ সেনের সুর ও সংগীতায়োজনে গানটির কথা লেখেন প্রিয় চট্টোপাধ্যায়। ভিডিওটি নির্মাণ করেন কলকাতার শিবরাম শর্মা। এতে একদল তরুণ-তরুণীর সঙ্গে কণা নিজেই মডেল হন, নাচেন। কণা বলেন, ‘এটা অনেক বড় একটা মাইলফলক। সবার রেসপন্স দেখে খুব ভালো লাগছে। গানটির জন্য অনেক পরিশ্রম করেছিলাম। এখন মনে হচ্ছে সেটা সার্থক।’ এদিকে ‘রেশমি চুড়ি’সহ মোট সাতটি গান নিয়ে রবি ইয়ন্ডার অ্যাপে প্রকাশ করা হয়েছে কণার নতুন একক অ্যালবাম ‘সেলফি’। - See more at: http://www.kalerkantho.com/print-edition/rangberang/2016/08/22/396296#sthash.1wZ6DZW4.dpuf

শুটিং করতে করতে বাংলাদেশ থেকে ভারত গেলেন আরিফিন শুভ ও নুসরাত ফারিয়া

শুটিং করতে করতে বাংলাদেশ থেকে ভারত গেলেন আরিফিন শুভ ও নুসরাত ফারিয়া। জাকির হোসেন রাজুর ‘প্রেমী ও প্রেমী’। ছবির কয়েকটি দৃশ্য নাকি এমন কিছুই চাচ্ছিল, জানালেন পরিচালক। তিনি বলেন, ‘গল্পে আছে নায়ক আর নায়িকা বাসে ঢাকা থেকে কলকাতা যাবে। পথে দুজনের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ, খুনসুটি হবে। ধীরে ধীরে যা ভালোলাগাতে রূপ নেবে।’ আরিফিন শুভ বলেন, ‘এটা নতুন অভিজ্ঞতা। শুটিংয়ে বেশ মজা করেছি। একটা গাড়ির ভেতরেই পুরো দিন। একটুও বোরিং লাগেনি।’ ফারিয়া বলেন, ‘নতুন ইতিহাসের সাক্ষী হলাম। এটা বাংলাদেশে প্রথম। এক দেশ থেকে শুটিং করতে করতে অন্যদেশে চলে যাওয়াটা এক কথায় চমকপ্রদ। দর্শকরা দৃশ্যগুলো বেশ উপভোগ করবেন।’ - See more at: http://www.kalerkantho.com/print-edition/rangberang/2016/08/22/396293#sthash.nNPGbrhz.dpuf

সাজিদের কাগজ

ডানপিটে ছিলেন। মেধাবীও ছিলেন। তাই খেলার মাঠ আর পড়ার টেবিল সব জায়গায়ই পাওয়া যেত সাজিদকে। ফুটবল-ক্রিকেট দুটিই ভালো খেলতেন সাজিদ। ফুটবলে ছিলেন স্ট্রাইকার, ক্রিকেটে ওপেনিং ব্যাটসম্যান। খুলনা ব্রাদার্সের হয়ে খেলেছেন। পয়েন্ট অঞ্চলে ফিল্ডিং করতেন। বন্ধুরা ডাকত জন্টি রোডস বলে। একবার কলেজের এক ছেলের সঙ্গে মারপিট করলেন। ছেলেটির বাবা ক্ষমতাবান ছিলেন। মামলাও ঠুকে দিয়েছিলেন। বাবা বলেছিলেন, চোখের সামনে থেকে দূর হ! বাড়ি ছাড়লেন সাজিদ।


১৯৯৭ সালে ঢাকায় আসেন। ধানমণ্ডিতে ‘মহসিন ভাইয়ের মেসে’ ওঠেন। ভর্তি হন ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটিতে। পড়তে থাকেন কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে (সিএসই)। টিউশনি করে টেনেটুনে চলে যেত। দূরসম্পর্কের এক মামা ছিলেন ঢাকায়। মামা বিদেশি কম্পানিগুলোয় ইলেকট্রিক সরঞ্জাম সরবরাহ করতেন। সাজিদ প্রায়ই যেতেন মামার অফিসে। বৈদ্যুতিক সরঞ্জামে তাঁর আগ্রহ তৈরি হয়।  নিজেই করতে চাইলেন ব্যবসা। ছোট মামার কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা ধার নিলেন। চতুর্থ বর্ষে পড়ার সময় গড়ে তুললেন কাজী করপোরেশন লিমিটেড। বৈদ্যুতিক মিটার, সুইচ গিয়ারসহ আরো কিছু পণ্য আনতে শুরু করেন বিদেশ থেকে। তখন বৈদ্যুতিক মিটারে সিসার সিল ব্যবহার করা হতো। এখন সিল হয় প্লাস্টিকের। ২০০৩ সালে প্লাস্টিকের সিল আমদানির জন্য বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) দরপত্র আহ্বান করে। কাজী করপোরেশন সর্বনিম্ন দরদাতা হলো। কিন্তু কাজটা পেল না। কারণ জানতে গেলেন পিডিবি অফিসে। চেয়ারম্যানের সঙ্গেই দেখা করলেন। সব শুনে চেয়ারম্যান দরপত্র রিভিউ করার নির্দেশ দিলেন। শেষমেশ কাজটা পেয়ে ১০ লাখ পিস সিল সরবরাহ করেছিলেন সাজিদ।


শেয়ারবাজারে
২০০৮ সালে সাজিদ চাইলেন শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করতে। প্রথমদিকে শেয়ার কিনতেন না। বিও অ্যাকাউন্ট খুলে কয়েক দিন বাজার পর্যবেক্ষণে রেখেছেন। তখন ‘স্টক মার্কেট বাংলাদেশ লিমিটেড’ নামে একটা সফটওয়্যার ছিল। সাজিদ নিজের জন্য সফটওয়্যারটির একটি আপডেট ভার্সন তৈরি করলেন। নিত্যই শেয়ার বেচাকেনা করলেন। লাভও পেলেন ভালো।

মাকে নিয়ে হজ
২০১০ সালের ২ নভেম্বর মাকে নিয়ে হজে যান সাজিদ। হজ শেষে মদিনা শরিফ যান। একদিন মসজিদে নববীতে মাগরিবের নামাজ পড়তে যান। সেদিন রোজাও রেখেছিলেন। ইফতারের সময় সৌদি এক ভদ্রলোক তাঁকে একটা পেপার কাপে কফি আরেকটা কাপে অনেকগুলো খেজুর দিলেন। কাপ দুটি দেখতেও খুব ভালো ছিল। সাজিদ কফি শেষ করলেন, কিন্তু নামাজের সময় হয়ে যাওয়ায় সব খেজুর শেষ করতে পারেননি। নামাজ শেষে খেজুরের কাপটা নিয়ে বাসায় এলেন। রাতে শুয়ে শুয়ে খেজুর খাচ্ছেন আর ভাবছেন, আমি কি এমন কাগজের কাপ বানাতে পারব না? তখনই স্মার্টফোনে ‘পেপার কাপ’ লিখে গুগলে সার্চ দিলেন। ‘সেখানে দুটি বাক্য দেখে আমার খুব ভালো লাগল। এগুলো হলো—‘হান্ড্রেড পার্সেন্ট ইকো ফ্রেন্ডলি এবং হান্ড্রেড পার্সেন্ট ফুড গ্রেড।’ বললেন সাজিদ। নভেম্বরের ২১ তারিখ দেশে ফিরে আসেন। দুই দিন পর মতিঝিলের শেয়ার মার্কেটে যান। নিজের কেনা সব শেয়ার বেচে দেন। সাজিদের মাথায় তখন কেবলই পেপার কাপ। আমদানি করে ব্যবসা নয়, দেশে নিজের কারখানায় উৎপাদন করতে চান। বিষয়টি নিয়ে বিস্তর ঘাঁটাঘাঁটি করলেন। খোঁজখবর নিয়ে জানলেন, বিশ্ববাজারে মালয়েশিয়ার মালেক্স কম্পানির খুব নামডাক। পেপার কাপ নিয়ে হাতে-কলমে শেখার জন্য ২০১১ সালে মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমান সাজিদ। সেখানে দুই মাস ছিলেন।

স্বপ্নযাত্রা
দেশে ফিরে নিজের কম্পানির নাম ঠিক করলেন—কাজী পেপার কাপ ইন্ডাস্ট্রি (কেপিসি)। প্রতিপাদ্য ‘লেট দি এনভায়রনমেন্ট লিভ, ইফ ইউ ওয়ান্ট টু লিভ’। কম্পানি প্রোফাইল তৈরি করে জমা দিলেন একটি বেসরকারি ব্যাংকে। প্রোফাইল দেখে ৩০ লাখ টাকা ঋণ অনুমোদন করল ব্যাংক। হাতে নিজের আরো ১০ লাখ ছিল। সব মিলিয়ে ৪০ লাখ হলো পুঁজি। ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে কারখানার যন্ত্রপাতি আমদানির জন্য এলসি খোলেন। তেজগাঁও শিল্প এলাকায় এক হাজার ২০০ বর্গফুটের একটা ঘরও ভাড়া নেন। লোক বলতে সাজিদ নিজে আর তিনজন কর্মচারী। এ নিয়েই এপ্রিল মাসে প্রথম পরীক্ষামূলকভাবে পেপার কাপ উৎপাদন করেন। ‘প্রথম দিন তো পুরো রাত জেগে সব তদারকি করছিলাম। মেশিন থেকে একেকটা কাপ নয় যেন মূর্ত হয়ে আমার স্বপ্ন বের হচ্ছিল।’

‘আব্বু, অর্ডার পেয়ে গেছি’
২০১২ সালের জুন মাসে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনে আসে কেপিসি। সেই দিনটির কথা আজও মনে আছে সাজিদের। মোটরবাইকের পেছনে নিজের উৎপাদিত পেপার কাপ ও প্লেটের কিছু নমুনা নিয়ে উত্তরায় শেভরনের নিবন্ধিত সরবরাহকারীর কার্যালয়ে গিয়েছিলেন। সরবরাহকারী কাপগুলো নেড়েচেড়ে দেখে খুশি হয়ে গেলেন। আগেরগুলোর তুলনায় সাজিদের কাপগুলো গুণগতমানে যেমন ভালো, দেখতেও ভালো। প্রথমবারেই মাসে দুই লাখ কাপের অর্ডার পান। সাজিদ বললেন, ‘দিনটি ছিল স্বপ্নের মতো। কিছুটা দুঃসাহস নিয়েই প্রথমে তাদের কাছে গিয়েছিলাম। আমাদের কাপের মান আর নকশার প্রশংসা করেছিলেন তাঁরা। প্রথম অ্যাসাইনমেন্টে সফল হতে পেরেছি। দারুণ আনন্দের ছিল ব্যাপারটি।’ অর্ডার পেয়ে বাবাকে ফোন করেন সাজিদ—আব্বু, আমি অর্ডার পেয়ে গেছি। এর পর থেকে প্রতি সপ্তাহে চার-পাঁচটি কম্পানির অর্ডার আসতে থাকে। পেপসির কাছ থেকেও অর্ডার পান প্রথম মাসেই।

গ্রাহক কারা
আপনি কি কখনো ক্যাম্পাসে কিংবা পার্কে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেওয়ার সময় কাপে ভরা ইগলুর আইসক্রিম খেয়েছেন? কিংবা রেস্টুরেন্টে আড্ডা দিতে দিতে নেসক্যাফে লেখা পেপার কাপে চুমুক দিয়েছেন? তাহলে আপনি কেপিসির গ্রাহক! এগুলো যে কেপিসির তৈরি! সাজিদের গ্রাহকতালিকায় আছে ব্রিটিশ কাউন্সিল, রিজেন্ট এয়ারওয়েজ, ব্রিটিশ-আমেরিকান টোব্যাকো, ইউনিলিভার, নেসলে, ওয়েস্টিন, সোনারগাঁও হোটেল, ঢাকাস্থ ব্রিটিশ হাইকমিশন, নিউজিল্যান্ড ডেইরি, বসুন্ধরা গ্রুপ, অ্যাপোলো হসপিটাল, ইউনাইটেড হসপিটাল, ইস্পাহানি, ডানো, প্রাণ, আকিজ গ্রুপ, বুমারস ক্যাফে, বাংলা কফি, বিএফসির মতো দেশি-বিদেশি ১৭০টির বেশি প্রতিষ্ঠান। দিনকে দিন এ তালিকায় যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন নাম।

- See more at: http://www.kalerkantho.com/print-edition/oboshore/2016/08/20/395432#sthash.niTxxQUP.dpuf

ফেসবুক নিয়ে বিড়ম্বনায় শাবনূর

দুই বছর আগে ফেসবুকে অ্যাকাউন্ট খোলেন শাবনূর। ‘শাবনূর শাবনূর' নামের অ্যাকাউন্টটিতে যোগ করেন চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টদের। প্রথম দিকে বেশ সরব ছিলেন। ছবি, স্টেটাসসহ নানা বিষয় ফেসবুকে শেয়ার করতেন। কিন্তু মাস ছয়েক পরেই ফেসবুকের প্রতি উদাসীন হয়ে পড়েন। আর লগ ইন করতেন না। দেড় বছর পর গত সপ্তাহে ঢুঁ মারেন অ্যাকাউন্টটিতে। আর তাতেই চোখ ছানাবড়া। চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা তাঁর টাইমলাইনকে বিলবোর্ড বানিয়ে ফেলেছে! শাবনূর বলেন, ‘একেকজন একেক ধরনের পোস্ট করেছে আমার টাইম লাইনে। কেউ নিজের ছবির প্রচারণা চালিয়েছেন, কেউ অভিনয়ের দৃশ্য ভিডিও করে আপলোড করেছেন, কেউ আবার নতুন নায়ক-নায়িকা চাই টাইপের বিজ্ঞাপন দিয়েছেন। এটা কেন! মানুষের কি ন্যূনতম জ্ঞানবোধ নেই? ভাবছি অ্যাকাউন্টটি বন্ধ করে দেব।' - See more at: http://www.kalerkantho.com/online/entertainment/2016/08/21/395805#sthash.UAjYHzaI.dpuf

দেশে ফিরেছেন মিলা হোসেন

১৮ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরেছেন মডেল ও অভিনেত্রী মিলা হোসেন। এবার এক বছর আট মাস পর ফিরলেন ‘লাক্স-আনন্দধারা মিস ফটোজনিক-২০০০’ হওয়া এই তারকা। ২০০৩ থেকে তিনি নিউ ইয়র্কে আছেন। সব শেষ দেশে এসেছিলেন ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে। প্রায় ১১ বছরের বিরতি ভেঙে সেবার ‘তারপর নদী’ এবং ‘পুনশ্চঃ ভালোবাসা’ শিরোনামে দুটি নাটকে অভিনয় করেছিলেন। তবে এবার ঈদে নতুন কাজ নিয়ে হাজির হবেন বলে জানান মিলা, ‘এবার দেশে আসার প্রথম কারণ পরিবারের সঙ্গে ঈদ করা। পাশাপাশি পছন্দসই কিছু কাজও করব। সেভাবেই প্রস্তুতি নিয়ে এসেছি।’ মিলা আরো জানান, তাঁর সঙ্গে স্বামী জাকারিয়া মাসুদ জিকোও এসেছেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক ‘আজকাল’-এর প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশক। মিলা ব্যবস্থাপনা পরিচালক। - See more at: http://www.kalerkantho.com/print-edition/rangberang/2016/08/22/396292#sthash.gX5wzJuo.dpuf

ফিউসিয়া | Fuchsia | গুগলের নতুন অপারেটিং সিস্টেম | কি থাকছে এতে?

এর নাম দেবার কারণের আগে আপনাদের জানতে হবে, ফিউসিয়া আবার কি? ফিউসিয়া আসলে একটি রং, যেটা পিঙ্ক+বেগুনি রঙ এর সমন্বয়ে গঠিত। কিন্তু এর সাথে অপারেটিং সিস্টেমের সম্পর্ক কি? হ্যাঁ, আছে—কেনোনা তারা ২টি কার্নেলের সমন্বয়ে বানাতে যাচ্ছে এই অপারেটিং সিস্টেমটি। তাছাড়া গুগল তাদের সোর্স সাইটে এটা এই ভাবে উল্লেখ করেছে “পিঙ্ক+বেগুনি==ফিউসিয়া (নতুন অপারেটিং সিস্টেম)“। তাই পরিশেষে এটাই বোঝা যাচ্ছে যে, ২টি কার্নেল ব্যবহার করার জন্যই তারা এই নামটি দিয়েছেন।

কি কি কার্নেল ব্যবহার করা হয়েছে এতে?


ফিউসিয়া অপারেটিং সিস্টেমে কার্নেল (কার্নেল কি?) হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে ম্যাজেন্টা (Magenta) ও এলকে (L)ittle (K)ernel। এবার আসুন জানি ম্যাজেন্টা ও এলকে জিনিস ২টা আসলে কি? এলটি হচ্ছে ছোট কার্নেল (Little Kernel=LK) এটাকে ব্যবহার করা হয় ছোট খাটো কোন কাজের জন্য—আর অন্য অ্যাপস গুলোর সাথে সমন্বয় করানোও এর কাজ। তাছাড়া বুটলোডার হিসাবেও খুব ভাল কাজ করে। এর ওজন মাত্র ২০-৩০ কেবি। এটি একটি ওপেন সোর্স সফটওয়্যার—যা https://github.com/littlekernel/lk থেকে পাওয়া যাবে।
এবার আসি ম্যাজেন্টা নিয়ে, ম্যাজেন্টা হচ্ছে মূলত কার্নেল অবজেক্ট, আইফোন ৫.০ তে বাইনারি কম্পিলিমেন্ট হিসাবে কিছু জায়গায় এটাকে ব্যবহার করা হয়েছিল। এর ইউজার ইন্টারফেস ও অত্যধুনিক ডিজাইনের জন্য বিখ্যাত। শুধুমাত্র এই কারনেই ১ জিবির উপরে ওজন হয়ে উঠেছে এটার। তাই বলাই যায় এটা হচ্ছে ফার্স্ট ক্লাস ইউজার মুড কার্নেল। তাছাড়া ম্যাজেন্টাকে এমন সিস্টেমের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে যাতে অত্যাধিক র‍্যামের প্রয়োজন পড়ে (বহু গিগাবাইট র‍্যাম)।

ম্যাজেন্টা ও এলকে ব্যবহারের পেছনে কারন

ম্যাজেন্টা ও এলকে ব্যবহারের পেছনে মূল কারন হচ্ছে নতুন এক যুগের সূচনা করা। কেননা এর আগে ২টি কার্নেল একই সাথে একই ডিজাইজে ব্যবহার করা হইনি। তাছাড়া এখন ব্যবহারকারীরা চায় ফাস্ট ডিভাইজ, স্টাইলিশ ইউজার ইন্টারফেস, ভাল ডিজাইন ও নিরাপত্তা। এইসব কারণেই গুগল ২টা কার্নেল একসাথে করার পরিকল্পনা করেছে। এলকে ব্যবহার করা হইয়েছে মূলত ডিভাইজটাকে ফাস্ট রাখার জন্য ও বেশি টাস্ক হলে যেন ডিভাইজ হ্যাং না করে। কিন্তু এটা ছাড়া আরো একটা বড় সমস্যা আছে সেই জন্যই তো ফ্রীআরটস (FreeRTos), ট্রেটক্স এর মত ভাল মানের ইন্টারফেস যুক্ত কার্নেল ছেড়ে এই কার্নেল ব্যবহার করলো। আসল ব্যপার হল অন্য সব কার্নেল গুলোতে টাস্ক ও র‍্যাম লিমিটেড কিন্তু এলটিতে সেটা থাকছে না সব আনলিমিটেড।
ম্যাজেন্টা ব্যবহারের মূল উদ্দেশ্য হল ইউজারকে খুব অত্যাধুনিক ইন্টারফেস ও ডিজাইন দেওয়া। তাছাড়া এটা হচ্ছে ওপেন সোর্স কার্নেল। যেহেতু ম্যাজেন্টা বানানো হয়েছে আধুনিক ও ফাস্ট মোবাইল, ট্যাব, কম্পিউটারের কথা চিন্তা করে তাই ম্যাজেন্টাকে ব্যবহার করে গুগল নতুন কিছু উপহার দেবার চেষ্টা করছে। সবথেকে বড় কথা মেজেন্ডা ব্যবহার করতে গেলে আপনার ডিভাইজে একটু বেশি র‍্যাম ব্যবহার করতেই হবে। তাই আমরা বলতেই পারি যে আধুনিক সুপার ফাস্ট কম্পিউটিং ও আধুনিক ডিজাইন সব কথা ভেবেই ২টি কার্নেল একই সাথে ব্যবহার করা হয়েছে।

ফিউসিয়াতে যে প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ ব্যবহার করা হয়েছে


ফিউসিয়াতে মূলত কি ধরনের প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ ব্যবহার করা হচ্ছে তা নিয়ে গুগল এখনো কিছু বলেনি। তবে এটা বোঝা যাচ্ছে গুগল একটা নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করতে যাচ্ছে। কেননা তারা তাদের সোর্স সাইটে ফিউসিয়ার জন্য অনেক গুলো কোড ল্যাঙ্গুয়েজ এর নাম বলেছে। JSON, logging, SSL, Google’s Go programming language, clang, LLVM তাছাড়া নাকি ইউনিক্স এর লেটেষ্ট ৭ নং ভার্সন ইউজ করবে। যদি তারা এটাই করে তবে তো বলার অপেক্ষা রাখে না এটা হতে যাচ্ছে খুব যুগান্তকারী পদক্ষেপ ডেভেলপারদের জন্য। তারা এটাকে ফ্লাটারের (Flutter) সাথেও সংযুক্ত করাবে বলে বলেছে গুগল। (ফ্লাটার হল আইওএস ও অ্যান্ড্রয়েড ডেভেলপারদের প্রোজেক্ট—এই প্রোজেক্টটি ডেভেলপারদের হাই পারফর্মেন্স, দক্ষ মোবাইল অ্যাপস তৈরি করতে সাহায্য করে, তাও আবার সিঙ্গেল ডাটাবেজ থেকে)। সুতরাং এটা বলা যেতেই পারে এবার ডেভেলপাররাও হয়তো কিছুটা খুশিটা হবে।

ফিউসিয়া কি অ্যান্ড্রয়েড ও লিনাক্সের বিকল্প হতে পারবে?

ফিউসিয়াকে অ্যান্ড্রয়েডের সাথে এখনই তুলনা করতে গেলে চলবে না। কেননা আমাদের বুঝতে হবে, এটা একটা প্রকল্প, তাছাড়া আর কিছুই না। গুগল শুধু তাদের চিন্তার কথা বলেছে। তাছাড়া এতে আশা হতো হবারও কিছু নাই–কেননা গুগল যে খুব আট ঘাট বেধে নামেছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু তারা যেসব আশা দেখিয়েছে তা যদি সফল হয় তবে এটা এঅ্যান্ড্রয়েডকে ছাপিয়ে যাবে এটা বলায় যাই। এখন শুধু দেখার পালা গুগল আমাদের ভবিষ্যৎ এ কি উপহার দিতে পারে।

শেষ কথা

সবশেষে এটাই বলা যাচ্ছে যে গুগল যে প্রকল্প হাতে নিয়েছে যেটা শুধু একটা প্রকল্পই না একটা আর্টও বটে—এটা হচ্ছে অপারেটিং সিস্টেমের আর্ট। হয়তো সেই ১৯৯০ এর লিনাক্স এর ইতিহাস সৃষ্টির পরে নতুন একটা ইতিহাস সৃষ্টি করতে পারবে গুগল। কি হতে পারে ফিউসিয়ার ভবিষ্যৎ? আপনার মতামত প্রকাশ করতে ভুলবেন না কিন্তু!

Ads Inside Post

Comments system

Disqus Shortname

Flickr User ID