ওই হামলার পর ধুলো আর রক্তমাখা আহত ওমরানকে উদ্ধার করে যখন অ্যাম্বুলেন্সের সিটে বসানো হয়, নির্বাক শিশুটির বিমূঢ় হয়ে বসে ছিল। সে হয়তো তখনো বুঝতে পারেনি কী ঘটেছে। এই ভিডিওটি বিশ্ব বিবেককে বেশ নাড়া দেয়।
এএফপির খবরে জানানো হয়, আলেপ্পোর মিডিয়া সেন্টার গতকালের এক ভিডিও বার্তায় আলীর মৃত্যুর তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছে।
সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস বলছে, আলী আলেপ্পোতে বুধবারের হামলায় গুরুতরভাবে আহত হয়েছিল।
সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় আলেপ্পো শহরের একটি ধ্বংসস্তূপ থেকে ওমরান দাকনিশকে উদ্ধার করা হয়। এরপর তাকে এনে বসানো হয় কমলা রঙের অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যে একটি চেয়ারে। তার ছোট্ট শরীরের পুরোটা ছিল ধুলাবালুতে আচ্ছন্ন। ধূলিধূসর মাথাভর্তি চুলের মধ্য থেকে গড়িয়ে পড়ছিল রক্ত। সেই রক্ত মুখের ওপর এসে ধুলার সঙ্গে মিশে একাকার। রক্তের ছোপ ছোপ দাগ ছিল শরীরের অন্যান্য অংশেও। বাঁ হাতটা তুলে প্রথমে তালুর পেছন দিকটা, পরে সামনের দিকটা মুখের ওপর বুলিয়ে আনে ওমরান। এরপর হাতটা চোখের সামনে ধরতেই যেন একটু চমকে উঠে। তারপর চেয়ারে ঘষে হাতের রক্ত মুছে ফেলে।
গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর তুরস্কের উপকূলের সৈকতে পড়ে ছিল সিরীয় শরণার্থী শিশু আয়লান কুর্দির লাশ। যুদ্ধের শিকার হয়ে বাস্তুচ্যুত হওয়া আয়লানের মৃতদেহের সেই ছবি বিশ্বজুড়ে ঝড় তোলে। আয়লানের পর ওমরান দাকনিশের এই ছবিও মর্মস্পর্শী হয়ে ওঠে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন